• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

High Court

কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

শেষ পর্যন্ত জয় শিক্ষকদের! ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, রায় হাই কোর্টের

বত্রিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি থাকবে, না কি যাবেএই প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্বেগে ছিলেন শিক্ষক মহল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটল। আজ দুপুর দুটোর কিছু পরে রায় ঘোষণা করল কলকাত হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে তার বড় সামাজিক ও পারিবারিক প্রভাব পড়বে। বিচারপতিরা বলেন, যাঁরা এতদিন ধরে কাজ করছেন, তাঁদের পরিবারের কথা ভাবতেই হবে। যাঁরা পরীক্ষায় সফল হননি, তাঁদের জন্য গোটা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা যায় না।এর আগে ২০২৩ সালের ১২ মে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, গোটা নিয়োগ ব্যবস্থাতেই গলদ ছিল।আজ ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আদালত কোনও রকম রোমিং এনকোয়ারি চালাতে পারে না। যাঁরা এতদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের পড়ানোর মান নিয়েও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। সেই সময় যাঁরা পরীক্ষক ছিলেন তাঁরা টাকা নিয়ে বাড়তি নম্বর দিয়েছেন, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণও সামনে আসেনি। তাই গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকেই ভুয়ো বলে দাগানো যায় না বলে মন্তব্য করে আদালত। এ দিন আরও বলা হয়, যাঁরা এই মামলা করেছিলেন তাঁরা কেউই তখন চাকরি করতেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি, তাঁদের জন্য গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। এই যুক্তিতেই একক বেঞ্চের আগের রায় খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।রায় ঘোষণার পর শিক্ষক মহলে স্বস্তির হাওয়া। এক শিক্ষক অমিত সাহা বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমরা কোনও টাকা দিইনি। আমাদের অনেকেরই হোমলোন রয়েছে, সন্তান রয়েছে। এই চাকরি চলে গেলে অনেকের সামনে বেঁচে থাকার পথটাই বন্ধ হয়ে যেত বলে তিনি জানান।এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি থেকে। তারপর টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দুদফায় নিয়োগ হয়। তাতে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ পান। পরে সেই নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালের নিয়োগে আইন মানা হয়নি, সংরক্ষণ নীতি উপেক্ষা করা হয়েছে, কোনও নির্বাচন কমিটি ছিল না, থার্ড পার্টি এজেন্সি দিয়ে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল, অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, কাট অফ মার্কস নিয়ে স্পষ্ট তথ্য ছিল না, শূন্য পদের চেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেনএমন একগুচ্ছ অভিযোগ আদালতে তোলা হয়।যদিও রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। রাজ্যের দাবি ছিল, কোনও আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল, তবে পরে তা সংশোধন করা হয়েছে। আজ আদালতের রায়ে শেষ পর্যন্ত সেই যুক্তিকেই গুরুত্ব দেওয়া হল। ফলে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল ৩২ হাজার শিক্ষকের জীবনে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

আদালত অবমাননায় বিপাকে সিনিয়র আইপিএস, গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

আদালতের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে এবার কার্যত কঠোর অবস্থান নিল Telangana High Court। বৃহস্পতিবার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আগামী ৫ ডিসেম্বর সশরীরে হাজিরা না দিলে হায়দরাবাদের হাইড্রা কমিশনার তথা সিনিয়র আইপিএস অফিসার AV Ranganath-এর বিরুদ্ধে জারি হতে পারে নন-বেলেবল ওয়ারেন্ট। বাথুকাম্মা কুন্তা লেক সংস্কার সংক্রান্ত একটি আদালত অবমাননার মামলায় এই কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।এই মামলার সূত্রপাত বাঘ অম্বরপেট এলাকায় বাথুকাম্মা কুন্তা লেকের পাশে থাকা একটি বিতর্কিত জমিকে ঘিরে। জমিটির মালিক আবেদনকারী এ সুধাকর রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, আদালতের নির্দিষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সংস্থা ওই জমিতে বড়সড় নির্মাণকাজ চালিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, হাইড্রার দাবি, ওই জমি আসলে লেকের ফুল ট্যাঙ্ক লেভেল বা এফটিএল-এর মধ্যেই পড়ে এবং জলাশয় পুনরুদ্ধারের জন্য সেখানেই কাজ করা জরুরি।গত জুন মাসে এই মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বর্ষার আগে শুধু সীমিত পরিসরে বন্যা প্রতিরোধমূলক কাজ করা যাবে, কিন্তু বিতর্কিত জমিতে কোনও রকম দখল করা চলবে না। অভিযোগ, সেই নির্দেশ অমান্য করেই লেক সংস্কারের নামে জমিতে বড়সড় পরিবর্তন ও নির্মাণ চালানো হয়েছে। অক্টোবরে তোলা ছবিতে সেই নির্মাণকাজের প্রমাণ মেলায় আদালত প্রাথমিকভাবে এটিকে আদালত অবমাননা বলেই মনে করে।বৃহস্পতিবার শুনানির দিন কমিশনার রঙ্গনাথ সশরীরে হাজির না হয়ে অব্যাহতির আবেদন জানান। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের সাফ বক্তব্য, এই মামলায় তাঁর ব্যক্তিগত উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, কারণ এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।উল্লেখ্য, রঙ্গনাথ বর্তমানে Hyderabad Disaster Response and Asset Protection Agency বা হাইড্রার শীর্ষ পদে রয়েছেন। এই সংস্থা শহরের সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে হাইড্রার ভূমিকা নিয়ে আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাটিকে।এই মামলায় আদালতের কড়া অবস্থানে প্রশাসনিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। একদিকে যখন শহরের জলাশয় রক্ষার দাবি করা হচ্ছে, তখন অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ প্রশাসনের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এখন সব নজর ৫ ডিসেম্বরের দিকেসেদিন সত্যিই কমিশনার হাজিরা দেন কি না, তার উপর নির্ভর করছে এই বিতর্কিত মামলার পরবর্তী গতিপথ।

নভেম্বর ২৮, ২০২৫
কলকাতা

এসএসসি ঘিরে নতুন বিতর্ক, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়োগ এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর

কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্যানেল সদস্য নয়, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগপত্র কারা পেয়েছিলেন, সেই তথ্যও কমিশনকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে।২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্যানেল ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল। পরবর্তীতে নতুন পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু পুরনো প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়োগ ও নতুন প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় কমিশনের ওপর চাপ বেড়েছে। আদালতের এই নির্দেশ আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর করার উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের কোনও প্রার্থী যদি চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন, তবে তাঁর বা তাঁদের ভাগ্য আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করবে।একই সঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, চলতি বছরের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট কমিশনকে আপলোড করতে হবে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা ওএমআর শিট আপলোড করেননি কেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা উচিত, না হলে পরে আবার অনিয়মের অভিযোগ উঠবে।এভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার চাপে আসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নির্দেশ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

চার্জশিট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত স্থগিত! মহুয়া মৈত্র মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের চমকপ্রদ অবস্থান

মহুয়া মৈত্রের মামলায় বাড়ল উত্তেজনা। সুরাহা মিলল না, বরং আরও কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হল শুক্রবার। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিলএ মুহূর্তে রায় নয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় লোকপালের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু ওই আবেদনেও আপাতত স্থগিতাদেশ মিলল না। ফলে মহুয়ার অস্বস্তি কাটল না, উল্টে কিছুটা চাপ থেকেই গেল।লোকপাল সম্প্রতি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল, মহুয়ার বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে যান মহুয়া। শুক্রবার বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের বেঞ্চে দীর্ঘক্ষণ শুনানি চলে। মহুয়ার আইনজীবী নিধেশ গুপ্তর দাবিলোকপালের নির্দেশে গুরুতর ত্রুটি আছে, তাই বিষয়টি বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। তিনি লোকপালের নির্দেশ পুরোপুরি বাতিল করার আবেদনও জানান।অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী এএসজি এসভি রাজুর বক্তব্য ছিল একেবারে বিপরীত। তাঁর দাবিলোকপাল ইতিমধ্যেই মহুয়ার সব বক্তব্য শুনেছে। তাই এখন নতুন করে তাঁর আদালতে নথি জমার অবকাশ নেই। তিনি কেবল মৌখিক যুক্তি দিতে পারেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জানিয়ে দেয়রায় পরে ঘোষণা করা হবে। সিবিআইয়ের চার্জশিট সংক্রান্ত লোকপালের নির্দেশেও এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হল না।মামলার মূল পর্বও এখনও অনেকটাই বাকি। কারণ লোকপাল সিবিআই-কে চার্জশিট জমা দিতে বললেও এখনও কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অনুমতি দেয়নি। ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা অনুযায়ী, চার্জশিট জমার পরই দ্বিতীয় ধাপের আবেদন বিবেচনা করা হবে। তার আগে কোনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। তাই পুরো পরিস্থিতি এখন যেন এক অদৃশ্য অপেক্ষায় ঝুলে আছেযেখানে না মহুয়া স্বস্তি পাচ্ছেন, না সিবিআই এগোতে পারছে পরবর্তী ধাপের দিকে।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

সোনারপুর কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য হাই কোর্টের, এফআইআরে ‘বেআইনি’ অভিযোগ!

সোনারপুরে শুল্ক আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, অভিযোগ পাওয়ার পর FIR দায়েরের ক্ষেত্রে পুলিশ একটিও আইন মানেনি। বিচারপতির প্রশ্ন, অভিযোগ পেয়েই FIR দায়ের? প্রাথমিক অনুসন্ধান করলেন না কেন? সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন সম্পর্কে জানেন না?বিচারপতি আরও জানতে চান, ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শুল্ক আধিকারিককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কি না। সরকারি আইনজীবী এই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। ফলে হাই কোর্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া আইনের চোখে সবাই সমান, পুলিশ যদি নিয়ম ভাঙে, আদালত চুপ করে থাকতে পারে না।প্রসঙ্গত, গত মাসে সোনারপুরে এক শুল্ক আধিকারিকের গাড়িতে অটো ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বচসা বাঁধে স্থানীয় অটোচালকদের সঙ্গে। সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামলালেও কিছুক্ষণ পর প্রায় ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী আধিকারিকের আবাসনে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ওই শুল্ক আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করা হয়, মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকেও হেনস্তা করা হয়। পরে তাঁকে কল্যাণী এইমসে ভর্তি করা হয়।পুলিশ তদন্তে নামে এবং পরদিনই তিন অটোচালক আজাদ আলি মণ্ডল, সুরজ আলি মণ্ডল ও অলোক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। পরে আরও আটজন গ্রেপ্তার হয়, কিন্তু তাঁরা এফআইআরে নাম না থাকায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। এই নিয়েই পুলিশের তদন্তে বেআইনি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, আইন অনুযায়ী প্রাথমিক অনুসন্ধান ছাড়া সরাসরি FIR দায়ের করা যায় না। পুলিশের এই আচরণ স্পষ্টতই বেআইনি। হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া FIR-এর ভিত্তিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ।এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজ্য প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আদালতের মন্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত, পুলিশের কাজের ধরন নিয়ে আদালত আর চোখ বন্ধ করে থাকবে না। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আইন ভাঙলে সে সাধারণ মানুষ হোক বা পুলিশ কাউকেই ছাড়া হবে না।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

নির্ধারিত দিনেই SSC-এর পরীক্ষা, দাগিরা সুযোগ পেলে 'ফল' ভুগবে রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

বেআইনি নিয়োগ-কেলেঙ্কারির কারণে দাগি (অযোগ্য) প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) আসন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বজায় রেখে পরীক্ষা বাধা ছাড়াই সম্পন্ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এক জন দাগি অযোগ্য প্রার্থীও যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে তা নিশ্চিত করা SSC কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব ।SSC-এর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১,৯০০ জন প্রার্থী দাগি বা অযোগ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত ।সুপ্রিম কোর্ট SSC-কে এক সপ্তাহের মধ্যে (৭ দিনের মধ্যে) অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়; তা না হলে SSC-কে ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়।কলকাতা হাইকোর্ট আগেই দাগি প্রার্থীদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা upheld হয় ডিভিশন বেঞ্চের মাধ্যমে ।একই সঙ্গে এদিন আদালত জানিয়েছে, অযোগ্যদের পুনরায় সুযোগ দেওয়ার SSC ও রাজ্য সরকারের যুক্তিও দ্বিগুণ শাস্তির সমতুল্য হবে। আদালত ত আরো জানিয়েছে, সমাজে প্রতারণার জন্য কোন স্থান নেই।স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, এসএসসির আইনজীবী এদিন জানিয়েছেন দাগী প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,৯০০ জন।SSC-কে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।বিধি লঙ্ঘনের ফল SSC-কে ভোগ করতে হবে বলেও এদিন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই বক্তব্যের পর এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সম্ভব হলে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই দাগিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে স্পষ্ট যে, নিয়োগে স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করতে দাগি প্রার্থীরা কোনোভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়মতো, আইনগত ও নৈতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বিশ বাওঁ জলে '১০০ দিনের' ভবিষ্যৎ, অথৈ জলে সুবিধাভোগী জনগণ

পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ (MGNREGA) প্রকল্পের অর্থ বণ্টন ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলায় একাধিক বিচারপতির বেঞ্চ থেকে সরে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তিতে গভীর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে এই মামলার শুনানি থেকে একাধিক বিচারপতি বেঞ্চ থেকে সরে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে, যা মামলার প্রক্রিয়াকে ক্রমশ বিলম্বিত করছে। এই কারণে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই মামলার শুনানি থেকে একাধিক বিচারপতি বেঞ্চ থেকে সরে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে, যা মামলার প্রক্রিয়াকে ক্রমশ বিলম্বিত করছে। এই কারণে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি মিতা দাস-র ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার সেই মামলাটি ছেড়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে এই মামলাটি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। তিনি ইতিমধ্যে তার হাতে থাকা সমস্ত জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যহতি নেন। সেই সময়েই এই ১০০ দিনের কাজের মামলাও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরে যেখানে মামলা গিয়েছিল, সেই ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি মিতা দাস-র ডিভিশন বেঞ্চেও ছেড়ে দিল মামলাটি।উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে (MGNREGA) ভুয়ো জব কার্ড, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড এবং অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড তৈরি করে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা স্রকারি মদতপুষ্ট কিছু আসাধু মানুষজন। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করে, যারা তদন্ত করে জানায় যে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মালদহ এবং দার্জিলিং জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এবং মোট ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে এবং আগামী ১৫ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে। এই রিপোর্টে রাজ্যের বকেয়া অর্থ কবে মেটানো হবে এবং প্রকৃত উপভোক্তাদের মধ্যে অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে। এই মামলার অগ্রগতি এবং পরবর্তী শুনানির ফলাফলের উপর নির্ভর করবে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ।

মে ১৩, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের জন্মদিনে পথে নামার ডাক আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের

আরজি করের কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ফের পথে নামতে চলেছে তাঁর বাবা-মা। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন অভয়ার। ওই দিন পথে নেমে বিচারের দাবি জানাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সকলকে ৯ ফেব্রুয়ারি পথে নামার আবেদন জানিয়েছেন। অভয়ার বাবা - মা স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা বিচার ছিনিয়ে আনবেন। সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এদিকে আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে নয়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এদিন মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারকে এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে এই শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
কলকাতা

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্ক, কাল শুনানি হাইকোর্টে

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েত নিষিদ্ধ। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত এলাকায় ৫ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। বৌবাজার থানা ও হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা। মূলত রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানা গিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগামী ৬০ দিনের জন্য়। এর আগেও নাকি এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে লালবাজার দাবি করছে। এদিকে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক ও চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠন। তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার কলকাতা পুলিশের ওই নির্দেশিকা পত্র পোস্ট করে লিখেছেন, আগামী দুইমাস ব্যাপী ধর্মতলা সংলগ্ন কে. সি. দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউজ পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত জমায়েত এবং মিটিং-মিছিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কলকাতা পুলিশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে এত ভয় কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার? মাননীয়া ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আগেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে, এবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও বারবার বাধাদানের অপচেষ্টা! কিসের এত ভয় নব নিযুক্ত অপদার্থ পুলিশ কমিশনারের?আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। রাতদখলের কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতা শহরেও বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে লালবাজারের এই নির্দেশিকায় বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। আদালতে গিয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

১৪ বছরেও চাকরির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি, কড়া নির্দেশ বিচারপতির

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিনদিনের মধ্যে ২০১০ সালের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করতে হবে তাঁদের। ১৪ বছর আগে পরীক্ষা হওয়ার পর এখনও তার ফল বেরোয়নি! এতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কমিশনের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোনও পরীক্ষার ফল বের করতে ১৪ বছর লাগে কি? ২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে তিন হাজার শূন্যপদে পরীক্ষা হয়েছিল। অন্তত ১ লক্ষ পরীক্ষার্থী সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেই পরীক্ষায়।দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার ফল না বেরোনোয় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছিল। সেই সময়সীমা দুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। তার আগে মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিলেন, তিনদিনের মধ্যেই সে ফলপ্রকাশ করতে হবে মাদ্রাসা কমিশনকে।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা ধর্মঘট

আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রতিবাদে সারা বাংলায় চিকিৎসা ধর্মঘটের ডাক দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি বন্ধ থাকবে। শুধু ইমার্জেন্সি বিভাগ খোলা থাকবে। এমনকী বক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখারও আবেদন জানিয়েছে এই সংগঠন। এদিন এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজ প্রাঙ্গনে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করেছিল চিকিৎসকদের এই সংগঠন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স সংগঠনের নেতা ড. মানস গুমটা বলেন, আমাদারে দাবি ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সিবিআই তদন্তের আগে আরজি করের চেষ্ট বিভাগে মেরামতের নামে প্রমান লোপাটের চেষ্টার প্রতিবাদ করছে আমাদের এই সংগঠন। সন্দীপ ঘোষসহ সমস্ত সন্দেহভাজনকে অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এদিন বুদ্ধিজীবীদের একটি দল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে মিছিল করে আরজি করে মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যায়। রাজনৈতিক দলগুলি চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমেছে। এদিনই আবার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আগস্ট ১৪, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করে চিকিৎসক খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত, আদালতের নির্দেশ পেয়েই টালা থানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

আদালত নির্দেশ দিতেই সিবিআই আধিকারিকরা টালা থানায় পৌঁছে যান। সেখানে আরজি করে চিকিৎসক খুনের নথি নিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানির প্রথম দিনেই চূড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। তিন সপ্তাহ পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে CBI নির্দেশ দেওয়া যায়। যে ঘটনায় রাজ্যের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে সিবিআই নির্দেশ দেওয়া যায়। হাসপাতালের সুপার কিংবা কেউ FIR দায়ের করলেন না, এটা তো বিস্ময়ের। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফার পরেও কেন সমান গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে CBI-কে কেস ডায়েরি হস্তান্তর করতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরিতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রথমেই কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের দেহ ওই হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে। যিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কেন FIR করলেন না? এদিকে আজই টালা থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়েছেন বলে খবর।

আগস্ট ১৩, ২০২৪
রাজ্য

হাইকোর্টে চাকরি বাতিল, উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়গঞ্জের চাকুলিয়ায় সোমবার নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলোধোনা করেন বিজেপিকে।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি বিষাক্ত বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসে তাহলে না থাকবে নির্বাচন, না থাকবে গণতন্ত্র, না বেঁচে থাকবে সংবিধান। ধর্মের উস্কানি দিয়ে সকলের মধ্যে বিভেদের বীজ বুনে দিচ্ছে এই বিজেপি। আমি বেঁচে থাকতে এনআরসি, সিএএ এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড হতে দেবো না বাংলায়। এই বিজেপির সঙ্গী এখন সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। এদেরকে ভোট দেওয়া মানেই, বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়া। কংগ্রেসের এই নীতির উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই আজ রায়গঞ্জের চাকুলিয়ার সভামঞ্চে কংগ্রেসের ৩ জন ব্লক সভাপতি যোগদান করলেন জোড়াফুলের পরিবারে। এই বৃহৎ লড়াইয়ে তাঁদের সকলকে স্বাগত।এদিন কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির সব নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে। চাকরি গিয়েছে প্রাশ ২৬ হাজার জনের। এই জনসভায় মমতা বলেন, আজ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ প্রকাশ পেয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়। আমরা এই রায়কে কেন্দ্র করে উচ্চ-আদালতে যাবো। কেউ যদি চাকরি প্রার্থীদের পাশে না থাকে, আমি শেষ অব্দি থেকে যাবো। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের শক্তি। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো।আগামী ২৬ এপ্রিল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জোড়াফুলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এপ্রিল ২২, ২০২৪
রাজ্য

এসএসসি নিয়ে নজিরবিহীন রায় আদালতের, বাতিল ২০১৬-র পুরো প্যানেল

এসএসসি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। পুরো প্যানেল রাতিল করেছে আদালত। পাশাপাশি সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই রায়ের পর তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। আন্দোলনকারীরা এই রায়ের পর আশার আলো দেখছেন। প্রায় সাড়ে ৩ মাসের শুনানি শেষে সোমবার এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা হল। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরি বৈধ হওয়া উচিত নয়। এসএসসি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করেছে দিল উচ্চ আদালত। SSC-র সমস্ত নিয়োগ বাতিল করল হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি প্রাপকদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।এরই পাশাপাশি ফের নতুন করে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। SSC গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দ্বাদশ পর্যন্ত ২০১৬ সালে হওয়া সব নিয়োগ অবৈধ বলে স্পষ্ট জানাল হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের সেই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই এদিন বাতিল করেছে উচ্চ আদালত।নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগের পাশাপাশি এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ-ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি শেষের পর আজই রায় ঘোষণা আদালতের। এরই পাশাপাশি CBI এই গোটা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যে কাউকে হেফাজতে নিয়েই তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা। এসএসসি-কে সমস্ত OMR শিটের কপি তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ওই ওএমআর শিট পর্যবেক্ষণ করে নতুন করে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে।

এপ্রিল ২২, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালি ইস্যুতে হাইকোর্ট: অভিযোগ ১ শতাংশ সত্যি হলেও লজ্জার

সন্দেশখালির মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের আগে একটি হলফনামার বিষয়বস্তুতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, অভিযোগ যদি এক শতাংশও সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক৷আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলে দাবি করার জন্যও তিরস্কার করেছে।সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন এবং জমি দখলের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেছেন, পুরো জেলা প্রশাসন এবং শাসকদের অবশ্যই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি যদি (হলফনামা) ১% সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক। আর পশ্চিমবঙ্গ বলে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ? যদি একটি হলফনামা সঠিক বলে প্রমাণিত হয় তবে এই সব মিথ্যা হয়ে যাবে।হাইকোর্ট ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকের মুখে মহিলাদের উপর যৌন নিপীড়নের দাবি এবং সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের জমি জবরদখলের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল।মার্চ মাসে, আদালত সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের উপর ৫ জানুয়ারি হামলার তদন্তের পাশাপাশি প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের হেফাজত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়।ঘটনার সূত্রপাত, যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা যাঁরা সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বরখাস্ত হওয়া জেলা পরিষদের সদস্য শক্তিশালী শেখ শাহজাহানের বাড়িচে ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছিল। শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা পলাতক থাকায়, ৮ ফেব্রুয়ারি, রেখা পাত্র-সহ এলাকার মহিলারা রাস্তায় নেমে আসেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, হামলা এবং জমি দখলের অভিযোগ তোলেন।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে বিরোধী দল সন্দেশখালি ইস্যুতে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আরও, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেছিলেন যে বাংলায় মহিলারা সবচেয়ে নিরাপদ।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal